আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী | Albert Einstein Biography in Bengali

You are currently viewing আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী | Albert Einstein Biography in Bengali

Albert Einstein Biography in Bengali – আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং ভর-শক্তি বিখ্যাত সমীকরণ সূত্র E = mc2 আবিষ্কারের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত।

এছাড়া আলবার্ট আইনস্টাইন তার জীবনে অনকে গবেষণা ও বিজ্ঞানের বিষয়ে পুস্তক লেখেন যার কারনে তার নাম ইতিহাস এর পাতায় সুবর্ণ অক্ষরে লেখা রয়েছে। আইনস্টাইনকে শতাব্দীর সবথেকে বুদ্ধিমান ব্যাক্তি এবং সবথেকে বুদ্ধিমান বিজ্ঞানীর আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানে তার অতুলনীয় অবদানের কারণে বর্তমান যুগে বর্তমান যুগে বিজ্ঞানের এতটা অগ্রগতি ঘটে। আজ আমরা সেই মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

Brief Biography of Albert Einstein in Bengali | আলবার্ট আইনস্টাইন রচনা

নামআলবার্ট আইনস্টাইন ( Albert Einstein)
জন্ম১৪ মার্চ ১৮৭৯, উল্‌ম, জার্মানি
পিতা ও মাতাহিমার আইনস্টাইন (পিতা)
পলিন কোচ (মাতা)
দাম্পত্যসঙ্গীমিলেভা মেরিক (১৯০৩ সালে)
এলসা লভেন্থাল (১৯১৯ সালে) বিবাহ করে
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান, দর্শন
উপাধি ও সম্মানপদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরষ্কার (১৯২১)
কোপলি পদক, শতাব্দীর সেরা ব্যাক্তি,জিনিয়াস
আলবার্ট আইনস্টাইন পরিচিতি

আলবার্ট আইনস্টাইন এর জীবন কাহিনী এবং বিজ্ঞানে তার অবদান

[এই পোস্টটির লেখাটি এই সমস্ত প্রশ্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন – আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী, Albert Einstein Biography in Bengali, আলবার্ট আইনস্টাইন প্রবন্ধ রচনা, Albert Einstein Paragraph in Bengali, আলবার্ট আইনস্টাইনের রচনা, About Albert Einstein in Bengali]

জন্ম ও পরিবার

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত একটি ছোট শহর ‘ উল্‌ম ‘এক সমৃদ্ধ ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন সাধারণত একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে । তার পিতা হেরমান আইনস্টাইন ছিলেন একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার যিনি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির কারখানার মালিক। তার মাতা পলিন ছিলেন একজন গৃহনী যিনি তার পরিবারের সমস্ত কাজকর্ম সামলাতেন। এছাড়া আইনস্টাইন এর দুই বছরের ছোট একটা বোন ছিল যার নাম ছিল মজা।

আলবার্ট আইনস্টাইনের ছেলেবেলা

আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মানির উল্‌ম শহরে জন্মগ্রহণ করলেও তার পিতার ব্যবসার কারনে উল্‌ম শহর ত্যাগ মিউনিখে শহরে চলে আসে এবং সেখানে তিনি বেড়ে উঠে।

ছোটবেলা থেকেই অন্যান্য শিশুদের তুমনাই দুর্বল ছিল এমন কি এও জানা যায় কি তিনি ৯ বছর বয়স পর্যন্ত ঠিকমতো কথা বলতে পারতো না। সেসব সত্ত্বেও তার মনে কৌতুহল কম ছিল না যেকোনো যন্ত্র দেখলেই তার মনে বিষ্ময় হতো যে যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করছে।

ছোটবেলায় তার ক্লাস কেউ সঙ্গী ছিল না তাই তিনি পিছনের বেঞ্চে একাই বসতো। তার একমাত্র সঙ্গী ছিল তার মা, তিনি তার মা এর কাছ থেকে বেহালা বাদ্যযন্ত্রটি বাজানো শিখেছেন।

একবার তার জন্মদিনে তাকে একটু কম্পাস উপহার দেওয়া হছে। সেই কম্পাসের নিজে নিজে দিক পরিবর্তন দেখে তিনি বিস্মিত হয়ে উঠে।

এছাড়া তিনি ছোটবেলা থেকে জ্যামিতি ও ক্যালকুলাস এর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি খুব শীঘ্রই ক্যালকুলাস প্রধান দুটি শাখা সমকালন ও অন্তরক ক্যালকুলাস আয়াত করে ফেলেন।

যখন আলবার্ট আইনস্টাইন দশ বছর হয় তখন তিনি একজন বিজ্ঞান এর ছাত্র এর কাছে পড়াশোনা করতেন তিনি তাকে আরো উচ্চতর গণিত এবং দর্শন এর ব্যাপারে শিক্ষা দিয়েছিলেন।

এছাড়া তিনি ছোট থেকেই আলোর বিষয়ে তার মনে কৌতুহলের সৃষ্টি করেন আলো কি আলোর তরঙ্গের সাথে ভ্রমন করলে কি হবে? এই সব প্রশ্ন তার মনে চলতে থাকতো।

আলবার্ট আইনস্টাইনের শিক্ষা জীবন (About Albert Einstein Education in Bengali)

আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মানির উল্‌ম শহরে জন্মগ্রহণ করলেও তার পরিবার মিউনিখ শহরে চলে আসায় তার পড়াশোনা এবং শিক্ষার আরম্ভ সেখান থেকেই শুরু হয়।

আলবার্ট আইনস্টাইনের ৫ বছর বয়সে সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ক্যাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কিন্তুু সেই সময় তিনি স্কুলে যেতে পছন্দ করতো না কারণ স্কুলে তার কোনো বন্ধু ছিল না। প্রায় তিনি ক্লাসের শেষ বেঞ্চ বসে চিন্তা করতে থাকতো সেই কারনে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে মানসিক দিক থেকে দুর্বল বলে তার মাতা পিতার কাছে অভিযোগ করে।

এরপর ৮ বছর বয়সে তাকে লুইটপোল্ড জিমনেসিয়ামে ভর্তি হয় এবং সেখান থেকে তিনি তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে।

১৩ বছর বইয়াসে তিনি জামিতি এবং কলকুলাস প্রতি আগ্রহী হলে উঠেন। তিনি খুব শীঘ্রই ক্যালকুলাসের প্রধান দুটি শাখা সমকালন ও অন্তরকাল কালকুলাস আয়াত করে ফেলেন।

১৫ বছর বয়সে, তিনি খুব সহজেই গণিতের সবচেয়ে কঠিন সমস্যার সমাধান করতেন।

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৬ বছর বয়সে তার মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন।

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কে স্কুলের পড়াশোনা ভালো না লাগার কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে।

আলবার্ট আইনস্টাইন সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হওয়ার জন্য এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন কিন্তু সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হন।

তারপর তার অধ্যাপক পরামর্শ দিয়েছিলেন যে সবার আগে তাকে সুইজারল্যান্ডের আউতে ‘ক্যান্টনাল স্কুল’ তে ডিপ্লোমা করা উচিত। এর পরে, ১৮৯৬ সালে, সে ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশিকা পাবেন। তিনি অধ্যাপকের পরামর্শ বুঝতে পেরেছিলেন আইনস্টাইন তার শিক্ষকের কথামতন কাজ করে ও ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হয়ে যায়।

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯০০ সালে ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক হন।

পরবর্তীকালে ১৯০৫ সালে, ২৬ বছর বয়সে তিনি তার জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার Phd ডিগ্রি অর্জন করেন।

আলবার্ট আইনস্টাইনের কর্মজীবন

স্নাতক পাস করার পরেও চাকরি না পাওয়ের কারণে, আলবার্ট আইনস্টাইনে পিতা তাকে একটি পেটেন্ট আফিসে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে তিনি প্রথমে একজন সহযোগি পরীক্ষকের কাজে নিয়োগ হলেও পরবর্তীকালে তিনি সে পেটেন্ট আফিস টেকনিক্যাল গবেষক এর পদে উন্নতি লাভ করেন।

১৯০৫ সালে পেটেন্ট অফিসে কাজ করা কালীন তিনি জার্মানিতে আয়োজিত একটি বিজ্ঞান সম্মেলন তার গবেষণা পত্র গুলো প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্র গুলির মধ্যে ৪টি প্রধান গবেষণা বৈজ্ঞানিক দের মহলে তোলপাড় করে তোলে। তার চারটি প্রধান গবেষণা গুলি ছিল –

  • আলোক তড়িৎ ক্রিয়া প্রতিপাদন।
  • আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব আবিষ্কার।
  • ভর-শক্তি সমতা – বিখ্যাত E = mc2 সূত্র
  • ব্রাউনীয় গতি – আণবিক তত্ত্বের সমর্থন।

তার এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকেই তার আলোচনা শুরু হতে থাকে কিছু বৈজ্ঞানিক তার গবেষণা পত্রকে সমর্থন করেন কিছু বৈজ্ঞানিক তার গবেষণা ভুল বলে।

তারপর তিনি সেই পেটেন্ট অফিসে কাজ করার সাথে সাথে তার অন্যান্য গবেষণামূলক কাজ গুলি চালিয়ে যেতে থাকেন।

পরবর্তীকালে তিনি ১৯০৯ সালে বার্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষকের চাকরির করেন পরে আইনস্টাইন জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এর জন্য নাম জমা দেন। এর দু’বছর পরে তিনি চেকোস্লোভাকিয়ার প্রাগের জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি ৬ মাসের মধ্যে ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অধ্যাপক হয়েছিলেন।

১৯১৩ সালে, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক এবং ওয়ালথার নর্নস্ট জুরিখ এসে আইনস্টাইনকে জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকারী গবেষণা অধ্যাপক হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।

১৯২0 সালে, আইনস্টাইন হল্যান্ডের লেডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আজীবন সম্মানজনক সম্মানিত অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপরে, তার ক্যারিয়ার একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এছাড়া আইনস্টাইন তার জীবনে শত বই এবং গবেষণা পত্র লিখেছিলেন, যা আজও বিজ্ঞানীদের নতুন দিশা দেখাতে সাহায্য করে।

বিবাহ ও দাম্পত্য জীবন

আলবার্ট আইনস্টাইন তার জীবনকালে দুইবার বিবাহ করেন। আইনস্টাইন ওয়ালিস স্কুলে পড়াকালীন তার বন্ধুর মিলেভা মেরিক সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকাই পরবর্তীকালে ১৯০৩ সালে বিবাহ করেন। এবং বিয়ের পর তাদের দুটি সন্তান হয়। পরে আলবার্ট আইনস্টাইন এলসাকে ১৯১৯ সালে বিবাহ করে। আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম বিয়ের অপেক্ষায় দ্বিতীয় বিয়েতে বেশি সুসম্পর্ক স্থাপন হয়।

আলবার্ট আইনস্টাইনের আবিষ্কার (Inventions of Albert Einstein in Bengali)

আলবার্ট আইনস্টাইন তার জীবনকালে একাধিক আবিষ্কার করেছিল, যার কারণে তার নাম বিশ্বের বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের মধ্যে গণনা করা হয়। তার কিছু উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার গুলো নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো -[

আলোর কোয়ান্টাম থিওরি – আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্বটিতে আলবার্ট আইনস্টাইন আলোর সবথেকে ছোট আলোর তরঙ্গ ফোটন কণার খোঁজ করেন। তিনি এই তত্ত্বের মাধ্যমে ধাতব বস্তু থেকে ইলেকট্রন নির্গমনের পরীক্ষা করে দেখান। পরে ১৯০৫ সালে তিনি “ফটো ইলেকট্রিক ইফেক্ট” আবিষ্কার করেন। পরবর্তীকালে এই তত্ত্বটি কে কাজে লাগিয়ে, টেলিভিশন এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল ডিভাইস সৃষ্টি করা হয়।

E = MC বর্গ – আইনস্টাইন ভর এবং শক্তির মধ্যে একটি সমীকরণ প্রমাণিত, আজ একে পারমাণবিক শক্তি বলা হয়

বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ( Special theory of relativity) – ১৯০৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব টি প্রকাশ করেন। তিনি এই তত্ত্বের মাধ্যমে সময় এবং গতির মধ্যে সম্পর্কটি ব্যাখ্যা করেন। এবং তিনি গাণিতিক ক্যালকুলেশন এর মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে এই মহাবিশ্বে এ আলোর গতি স্থির বা ধূর্বক।

সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (General theory of relativity) – বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করার পর, ১৯১৫ সালে তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি ব্যাখা করেন। এই তথ্যের মাধ্যমে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ও নিউটনের মহাকর্ষ মধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যাপারটি সহজ ভাবে বুঝতে সাহায্য করে।

আলবার্ট আইনস্টাইনের অন্যান্য আবিষ্কার

  • আজ প্রায় সকলে রেফিরেজেটার বা ফ্রিজ এর ব্যবহার করে। তবে আপনি কি জানেন রেফিরেজেটার তৈরির প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করতে আলবার্ট আইনস্টাইন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি অ্যামোনিয়া, জল এবং বুটনে এর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি রেফিরিজেরটার এর আবিষ্কার করেন।
  • আকাশ নীল কেন? এই প্রশ্নটি মাঝে মধ্যে সবার মনে আসে। কিন্তুু আলবার্ট আইনস্টাইন বৈজ্ঞানিক ভিক্তিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর সবার সামনে তুলে ধরে।

আইনস্টাইনের বিদেশ ভ্রমণ ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন

আইনস্টাইনকে তার জীবনকালে একাধিক দেশের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এবং বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হই।

তিনি সর্বপ্রথম ১৯২১ সালে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে সফরে যান এবং সেখানে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কলম্বিয়া এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বক্তিতা দেন।

এরপর তিনি ইউরোপ মহাদেশের এর বিভিন্ন দেশে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ইউরোপের সফরে তিনি ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরের একাধিক বৈজ্ঞানিক এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানকার কিংস বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার শিক্ষার্থীদের সামনে তার বক্তব্য প্রদান করেন।

১৯২২ সালে তিনি এশিয়া মহাদেশের জাপান, সিঙ্গাপুর, ইত্যাদি দেশ ভ্রমণ করেন।

রবীন্দ্রনাথ এবং আইনস্টাইন এর সাক্ষাৎ

১৯৩০ সালে ১৪ ই জুলাই এলবার্ট আইনস্টাইন বার্লিনে তার বাড়িতে দার্শনিক, কবি, সঙ্গীতজ্ঞ নোবেল জয়ী কবিশুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে সাক্ষাৎ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আইনস্টাইন বিজ্ঞান, ধর্ম, ভারতীয় সংস্কৃতির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আইনস্টাইনের উপাধি ও সম্মান

আলবার্ট আইনস্টাইনকে তার বৈজ্ঞানিক কাজ কর্মের জন্য তাকে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মান দেওয়া হয়। এমনকি পদার্থ বিজ্ঞান মহলে তাকে বিজ্ঞানীদের ভোটের মাধ্যমে তাকে সেরা পদার্থবিজ্ঞানী উপাধি দেওয়া হয়। এছাড়া কেউ যদি খুব বুদ্ধিমান হয় তাহলে তাকে আইনস্টাইন বলে ডাকা হয়, তার কিছু প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মান গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো –

  • ১৯২১ সালে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনকে পদার্থবিদ্যায় অতুলনীয় কার্যের জন্য তাকে পদার্থ বিজ্ঞানের সর্বোচ সম্মানজনক পুরুস্কার “নোবেল” দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
  • ১৯২১ সালে আইনস্টাইনকে রয়্যাল সোসাইটির বিদেশি সদস্য নির্বাচিত হন।
  • ১৯১৬ সালে জার্মানির ফিজিক্যাল সোসাইটির তরফ থেকে আলবার্ট আইনস্টাইনকে সভাপতির পদের জন্য নির্বাচিত করেন।
  • ১৯২৫ সালে আইনস্টাইনকে রয়েল সোসাইটির পক্ষ থেকে “কপলি পদক” দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
  • পরবর্তীকালে ১৯৯৯ সালে আমেরিকার একটি বিখ্যাত ইংরেজি ম্যগাজিন “টাইমস” এর দ্বারা “শতাব্দীর সেরা ব্যাক্তির ” আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

আলবার্ট আইনস্টাইন সালে জার্মানি ত্যাগ করে আমেরিকার নিউ জার্সিতে থাকতে বসবাস শুরু করেন। আইনস্টাইন সেখানে প্রিস্টন কলেজে কর্মরত ছিলেন। ১৯৫৫ সালে ১৮ এপ্রিল ৭৫ বছর বয়সে মহান বিজ্ঞানী পরলোক গমন করেন।

আলবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য (Facts about Albert Einstein in Bengali)

আপনি নিশ্চই আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী থেকে তার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পরেছেন। এইবার তার সম্পর্কে কিছু মজার এবং আশ্চর্যজনক তথ্য রয়েছে সেই ব্যাপারে জানবো –

  • ১৪ মার্চ আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্মদিনকে সারা বিশ্ব জুড়ে ‘জেনিয়াস ডে’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
  • আইনস্টাইন ছোটবেলায় পড়াশোনা ও কথা বলার ক্ষেত্রে খুব দুর্বল ছিলেন।
  • আলবার্ট আইনস্টাইনকে একবার রষ্টপাতি হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং বলেন -” তিনি রাজনীতির জন্য তৈরি নই।”
  • আইনস্টাইন ছিলেন একজন প্রখর বুদ্ধি সম্পন্ন বিজ্ঞানী তার সত্বেও তিনি তারিক, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা ইত্যাদি মনে রাখতে পারত না।
  • আলবার্ট আইনস্টাইন কে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন কিন্তুু তার সাথে যে ধনরাশিটি পাওয় যেতো তিনি সেটি পাইনি।
  • আলবার্ট আইনস্টাইন নিজেকে সংশয়বাদী বলেছিলেন, তিনি নিজেকে কখনই নাস্তিক বলেনি।

Final Word

আশা করি, আপনারা আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনী (Albert Einstein Bangla Biography) পড়ে মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে পড়েছেন। এই লেখাটি আপনারা আলবার্ট আইনস্টাইনের রচনা হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।