Apj Abdul Kalam Biography in Bengali | আব্দুল কালামের জীবনী

You are currently viewing Apj Abdul Kalam Biography in Bengali | আব্দুল কালামের জীবনী

Apj Abdul Kalam Biography in Bengali – এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মিসাইল টেকনোলজি বিশেষ অবদানের কারনে তালে মিসাইল ম্যান এর উপাধি দেওয়া হয়। কিভাবে তিনি দারিদ্রতার মধ্যে থেকে প্রথমে বিজ্ঞানী ও তার পর রাষ্ট্রপতি হয় তা সমস্ত যুব সমাজকে এক অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। আজ আমরা সেই মহান ব্যক্তি ও বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী (biography of abdul kalam bangla) সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে পড়বো।

Brief Biography Dr APJ Abdul Kalam in Bengali

আব্দুল কালাম এর সম্পূর্ণ নামআবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম
জন্ম১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, রামেশ্বরম, তামিলনাড়ু
পিতা ও মাতাজয়নুলআবেদিন মারাকায়ার (পিতা)
অশিয়াম্মা (মাতা )
জীবিকা ও কর্মক্ষেত্রবৈজ্ঞানিক, বিমান প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, লেখক
এপিজে আবদুল কালাম রাষ্ট্রপতি সময়কাল২৫ জুলাই ২০০২ থেকে ২৫ জুলাই ২০০৭
উল্লেখযোগ্য উপাধি ও সম্মানমিসাইল ম্যান, ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ
এপিজে আব্দুল কালামের পরিচিতি

এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী কাহিনী

[এপিজে আব্দুল সম্পর্কে এই লেখাটি আপনার এই সমস্ত প্রশ্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন – আব্দুল কালামের জীবনী, Essay on Apj Abdul Kalam in Bengali language, এপিজে আব্দুল কালামের প্রবন্ধ রচনা, Biography of Apj Abdul Kalam in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী, Apj Abdul Kalam Paragraph in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী]

জন্ম ও পরিবার

এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত যা বর্তমানে তামিলনাড়ু রাজ্যের অন্তর্গত রামেশ্বরমমে মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করে।

কালামের পিতার নাম ছিল জৈনুলাবুদ্দিন এবং মাতা হলেন অশিয়াম্মা। তার পিতা মাছ চাষের নৌকা ভাড়া দেওয়া কাজ করতো। তার মাতা ছিলেন একজন গৃহবধূ। এছাড়া আব্দুল কালামের দুটি ভাই ও একটি বোন ছিল তাদের মধ্যে আব্দুল কালাম ছিল সবথেকে ছোট।

এপিজে আব্দুল কালামের ছেলেবেলা – Childhood of Apj Abdul Kalam in Bengali

এপিজে আব্দুল কালামের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম থেকে আরম্ভ হয়। আব্দুল কালামের পরিবার খুব একটা ধনীনা হওয়ার কারনে তার ছেলে বেলা দারিদ্রের মধ্যে যাই। এপিজে আব্দুল কালামের পিতে ছিলেন একজন নাবিক, তার পিতাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে ছোটবেলা থকেই আব্দুল কালাম স্কুল শেষে হাউয়ার পর খাবারের কাগজ বিতরণের কাজ করতো,এবং তার থকে যা আয় হতো ত দিয়ে সে তার স্কুল এর ফিস দিত।

এপিজে আব্দুল কালাম অনুশাসন, শিষ্টাচার ও উদারতা শিক্ষাটি ছোটবেলায় তার পিতার কাছ থেকে পাই। তার পিতা তাকে বলতো যে যদি কখনো জিবনে কঠিন সমায় আসে তখন আমরা যাতে নিরাশ হয়ে বসে না থাকি কারণ কঠিন সময় আমাদেরকে আমাদের আসল শক্তির সাথে পরিচয় করাতে সাহায্য করে। এপিজে আব্দুল কালাম তার পিতার সমস্ত উপদেশ গুলি খুব মন দিয়ে শুনতো।

এপিজে আব্দুল কালামের শিক্ষাজীবন

এপিজে আব্দুল কালাম ছেলেবেলায় থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ খুব গভীর ছিল সেই কারণে তিনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে ভালোবাসতেন।

আব্দুল কালামের তার প্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুল জীবন তিনি রমনাথপুরম শোয়ার্জ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন ও পরে তিনি ১৯৫৪ সালে তিরুচিরাপল্লী সেন্ট জোসেফ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় ও সেখান থেকে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক পাশ করে বেরিয়ে আসেন।

তারপর তিনি তার উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ এ চলে আসেন, এবং সেখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তে এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শুরু করেন। সেইখানে তার তৃতীয় বছর চলাকালীন তাকে কয়েকজন আরও শিক্ষার্থীর সাথে একটি নিম্ন স্তরের আক্রমণ বিমানের নকশা করার একটি প্রজেক্ট দেওয়া হয় যা তারা খুব ভালোভাবে সেটিকে তৈরি করে। পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে আব্দুল কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ভালো নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।

এপিজে আব্দুল কালামের কর্মজীবন ও তার অবদান

মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে তিনি তার পড়াশোনা সম্পন্ন করার পরে এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম তিনি তিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) তে টেকনিক্যাল সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন।

সেই সংস্থায় কর্মরত থাকা কালীন তিনি তার কর্মজীবনের শুরুতে ভারতীয় সেনার জন্য হোভার এয়ারকারফ একটি নকশা তৈরি করেন। DRDO তে কর্মরত থাকা কালীন Prototype Hovercraft এর জন্য তৈরি একদল ইঞ্জিনিয়ার এর নেতৃত্ব করেন।

১৯৬২ সালে আব্দুল কালাম ভারতীয় রক্ষা সংস্থায়টি (DRDO) থেকে বদলি হয়ে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগদান করেন। সেখানে তিনি প্রথমে মহান মহাকাশ বিজ্ঞানী ডক্টর বিক্রম সরভাইয়ের নেতৃত্বে কাজ করেন এবং পরবর্তীকালে বড়ো পদে উন্নতি লাভ করেন।

১৯৬৯ সালে এপিজে আব্দুল কালাম ISRO দ্বারা নির্মিত ভারতের প্রথম SLV -৩ (রোহিণী) এর জন্য তাকে প্রজেক্ট হেড করা হয়।

তার নেতৃত্বে ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম তার SLV (রোহিণী) কে পৃথিবীর নিকটতম কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।

ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগ দেওয়ার পর থেকে এপিজে আব্দুল কালামের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যেন তিনি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক তেমন কাজ করার সৌভাগ্য পেয়েছেন ।

১৯৮২ সালে, তিনি আবার প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থায় (DRDO) পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এপিজে আব্দুল কালামের নেতৃত্বে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম সফলভাবে চালু হয়েছিল, তিনি এই প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। সেই প্রজেক্ট এর জন্য ভারত অগ্নি ও পৃথিবী মিসাইল পাই।

১৯৯২ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সেক্রেটারি বিভাগের সচিব হন। তিনি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কাজ চালিয়ে যান।

মহাকাশ বিজ্ঞানে ও ভারতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাই এই অবদানের জন্য তাকে ভারতের সবথেকে সন্মানীয় পুরস্কার “ভারতরত্ন” দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে এপিজে আব্দুল কালাম

এপিজে আব্দুল কালাম বৈজ্ঞানিক হিসেবে অধিক নাম ও খ্যাতির কারণে, তাকে ২০০২ সালে তৎকালীন ভারতের কেন্দ্রের (NDA) সরকারের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি জন্য তার নাম মনোনীত করা হয়। এবং তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লক্ষ্মী শেগলকে কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে।

২৫ জুলাই ২০০২ সালে তিনি ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের এমন তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে ভারতের সম্মানিত পুরষ্কার “ভারতরত্ন” দ্বারা ভূষিত হন। এর আগে ডাঃ রাধাকৃষ্ণান ও জাকির হুসেন রাষ্টপাতি হওয়ার পূর্বেই “ভারতরত্ন” পুরস্কারটি পেয়েছিলন।

তিনি বৈজ্ঞানিক হিসেবে তো জনপ্রিয় ছিলেন কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হলে ওঠে, তাকে “জনতার রাষ্ট্রপতি” হিসেবে অভিহিত করা হত।

কিভাবে তিনি একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহন করে, প্রথমে বৈজ্ঞানিক ও পরে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তিনি রাষ্ট্রপতি পদ পর্যন্ত তার যাত্রা করেন, তা প্রতিটি যুবককে অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে।

দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটেলের মেয়াদ শেষে পরবর্তী সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার নাম আবারও আলোচনায় ছিল, তবে অনেক কম সমর্থনের অভাবের কারণে তিনি তার প্রার্থিতার ধারণা ত্যাগ করেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পরে ডাঃ এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষকতা, লেখালেখি, বিজ্ঞান এবং গবেষণার মতো কাজে নিযুক্ত ছিলেন।

এ ছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ব্যাঙ্গালোরের ফেলো, ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের চ্যান্সেলর, চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় তিরুবনন্তপুরম, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক হন এপিজে আব্দুল কালাম।

এপিজে আব্দুল কালাম সর্বদা দেশের যুবকদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন মঞ্চে মোটিভেশন বক্তব্য রাখেন। দেশের যুব সমাজের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে তিনি 2 বার এবং ‘এম.টি.ভি. ‘যুব আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত হয়েছিল। এছাড়া তাকে দেশের অনেক কলেজে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে ডাকা হয়েছিল।

এপিজে আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু আকর্ষনীয় তথ্য

এতক্ষন এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী পরে আপনি নিশ্চই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তবে আসুন এইবার আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু আকর্ষনীয় তথ্যের ব্যাপারে জানি –

  • এ.পি.জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী “উইংস অফ ফায়ার” প্রথম দিকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে পরে তা ফরাসি ও চিনা ভাষা সহ আরো মোট তেরোটি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
  • এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হওয়ার কারণে, ২০১০ সালে জাতিসংঘ তরফ থেকে এপিজে আব্দুল কালামের জন্মদিন ১৫ অক্টোবর এ ” বিশ্ব ছাত্র দিবস” ঘোষণা করেন।
  • এপিজে আব্দুল কালাম বই ছাড়া তিনি কারও কাছ থেকে কোনও উপহার কখন গ্রহণ করেননি।
  • ২০১১ সালে, নীলা মাধব পান্ডা কালামের জীবন ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন, যার শিরোনাম ” I Am Kalam “
  • এপিজে আব্দুল কালামের গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞান ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়।
  • তিনি দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে প্রদত্ত বক্তৃতা গুলির জন্য কোন ফি নেননি।
  • এ. পি. জে আব্দুল কালাম একজন নিরামিষভোজী ছিলেন।
  • তিনি বিজ্ঞানের সাথে সাথে সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। যার ফলস্বরূপ তিনি তার মাতৃভাষা তামিলে অনেকগুলি কবিতার রচনা করেন।

এপিজে আব্দুল কালামের লেখা কিছু বিখ্যাত পুস্তক

এপিজে আব্দুল কালাম তার জীবনকালে একাধিক পুস্তক রচনা করেন। একটি জীবনী সহ একাধিক নির্দেশমূলক ও অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের লেখক তিনি। ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের লেখা শীর্ষস্থানীয় পুস্তক গুলি হল –

  • উইংস অফ ফায়ার ( এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী )
  • টার্নিং পয়েন্টস: চ্যালেঞ্জগুলো সাথে যাত্রা,”
  • অদম্য সাহস
  • পরিবর্তনের জন্য চিন্তা ভাবনা: আমরা এটা করতে পারি

আলবার্ট আইনস্টাইনের বাণী ও উক্তি

  1. “সফলতার জন্য লড়াই না করে নিজেকে মূল্যবান মানুষ হিসাবে তৈরি করেন।”
  2. “ সমগ্র বিজ্ঞান দৈনন্দিনের একটি পরিশোধন চিন্তা ছাড়া আর কিছুই না।”
  3. অভিজ্ঞতাই হল জ্ঞাণের একমাত্র উৎস
  4. “সবকিছু যতটা সম্ভব সরল করা উচিত, তবে একদম সরল নয়।”
  5. ” যে কখনাে ভুল করেনি, সে কখনাে নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেনি।”

[আরো পড়ুনএপিজে আব্দুল কালামের উক্তি ও বাণী ]

এপিজে আব্দুল কালাম এর উপাধি ও সম্মান

মহাকাশ বিজ্ঞান ও ভারতীয় সুরক্ষা বেবস্থায় তার অতুলনীয় কাজকর্মের জন্য তাকে ভারতে ও দেশ-বিদেশ থেকে একধিক পুরুস্কার ও উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য সম্মান গুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল –

  • ভারত সরকারের তরফ থেকে সম্মানজনক ‘ভারতরত্ন,’ এবং ‘পদ্মভূষণ’ দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল।
  • ১৯৯৭ সালে ভারত সরকার তাকে জাতীয় সংহতকরণের জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার প্রদান করে।
  • আব্দুল কালামকে বীর সাভারকার পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
  • ২০০০ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম আলভার্স গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক ‘রামানুজন পুরস্কার’ লাভ করে।
  • ২০০৩ ও ২০০৪ সালে পরপর দুই বছর তিনি MTV ‘যুব আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ দ্বারা সন্মানিত হন।
  • ২০০৭ সালে, তিনি রয়েল সোসাইটি থেকে ‘কিং চার্লস দ্বিতীয় পদক’ পেয়েছিলেন।
  • ২০০৯ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে আন্তর্জাতিক কার্মান অফ্ উইংস অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সন্মানিত করা হয়।
  • এছাড়া এ.পি.জে আব্দুল কালাম ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছেন।