সত্যজিৎ রায় জীবনী ও তার অবদান | Biography of Satyajit Ray in Bengali

Biography of Satyajit Ray in Bengali – নমস্কার, আজ আমরা এই পোস্টির মাধ্যমে বাংলা তথা ভারতবর্ষের মহান চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জীবনী রচনা ও চলচ্চিত্র ও সাহিত্যে তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করবো।

সত্যজিৎ রায় কে ও কেন বিখ্যাত?

সিনেমা জগতে সত্যজিৎ রায় এর নাম খুব চর্চিত কারণ তিনি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত ভারতীর চলচ্চিত্র নির্মাতা এছাড়া তিনি চিত্রকার ও তার গল্প লেখার মাধ্যমে দেশের সত্য ও মর্মস্পর্শী চিত্র উপস্থাপন করেছিলেন।

সত্যজিৎ রায় তার জীবনে মোট ২৯ টি চলচ্চিত্র এবং ১০ টি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছেন। সত্যজিৎ রায়ের “পথের পাঁচালী” একটি আদর্শ চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচিত হয়। ৩২ টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায় বিশ্বে ভারতীয় চলচ্চিত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

(নিম্নে সেই মহান চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জীবনী ( Satyajit Ray Jiboni Bangla) ও চলচ্চিত্র নির্মাণে তার অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।)

সত্যজিৎ রায়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী – Essay on Satyajit Ray in Bengali

জন্ম২ মে ১৯২১, কলকাতা
পিতা ও মাতাসুকুমার রায় (পিতা)
সুপ্রভা রায় (মাতা)
দাম্পত্য সঙ্গীবিজয়া দাস
কর্মক্ষেত্রচলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র প্রযোজক,
চিত্রনাট্যকার, লেখক
অন্যতম রচনাপথের পাঁচালী, অপরাজিতা, অপুর সংসার
উল্লেখযোগ্য সন্মানপদ্মভূষণ এবং ভারতরত্ন, অস্কার (১৯৯২)
Satyajit Ray Biography in Bangla Language

জন্ম ও পরিবার

সত্যজিৎ রায় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ২ মে ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা নাম ছিল সুকুমার রায় ও মাতা ছিলেন সুপ্রভা দেবী। তার পিতা-মাতার ৭টি সন্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন ছিলেন। এছাড়া তার পরিবারে তার ঠাকুরদা ছিলেন যার নাম ছিল উপেন্দ্রকিশোর রায়। সত্যজিৎ রায়ের পিতা সুকুমার রায় ও ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর বাংলা সাহিত্যের নামকরা লেখক ও চিত্রশিল্পী ছিলেন। তার পিতা সুকুমার রায় ছোটদের জন্য একধিক কবিতার রচনা করেন। কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের বয়স ৩ বছর তখন সে তার পিত কে হারায় যার কারণে তার মা তাকে অনকে কষ্ট করে বড়ো করে তুলে।

সত্যজিৎ রায়ের শিক্ষা জীবন (Education Of Satyajit Ray in Bengali)

সত্যজিৎ রায় তার সর্ব প্রথম প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কলকাতার একটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হন সেখান থেকে তিনি তার স্কুল জীবন সম্পূর্ণ করে। পরে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বি.এ পাস করেন। ইতিমধ্যে কলেজে পড়াকালীন সত্যজিৎ রায় চিত্রশিল্পের প্রতি অনেক আগ্রহী হয়ে উঠছিলেন।

তার চিত্রশিল্পে তার প্রচণ্ড আগ্রহ দেখে তার মা তাকে ১৯৪০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের কলকাতার প্রতি প্রচন্ড ভালবাসা ছিল এ কারণেই তিনি কখনই এটিকে ছেড়ে যেতে চাননি, তবুও তার মাকে জোর করার পরে তাকে শান্তিনিকেতনে পাঠিয়েছিলেন।

সত্যজিৎ রায়ের চিত্রশিল্প শান্তিনিকেতনে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে তিনি বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নন্দলাল বোস এবং বেনোড বাহ্রি মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অনেক নতুন কিছু শিখেছিলেন।

পরে তিনি মুখার্জি অবলম্বনে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করেছিলেন ‘দ্য ইনার আই’। অজন্তা, ইলোরা এবং এলিফ্যান্টা তাকে ভারতীয় শিল্প শনাক্ত করতে অনেক সাহায্য করেছিল।

সত্যজিৎ রায়ের প্রাথমিক কর্ম জীবন

এরপর সত্যজিৎ রায় শান্তিনিকেতন থেকে তার শিক্ষা সম্পূর্ণ করে আবার কলকাতায় ফিরে আসে এবং ১৯৪৩ সালে তিনি সর্বপ্রথম একটি ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন কোম্পানিতে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে কাজ শুরু করেন। তখন তার বেতন ছিল মাত্র ৮০ টাকা।

তবে সেই ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনের কোম্পানিতে ভারতীর কর্মচারী ও ব্রিটিশ কর্মচারীদের মধ্যে বেতনের অধিক বৈষম্য থাকার কারনে তিনি সেখানে কয়েক মাস কাজ করার পর অন্য একটি ভারতীর প্রেসে কাজ শুরু করে যেখানে তিনি তার সম্পূর্ণ শৈল্পিক স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।

সত্যজিৎ রায় পরে বেশ কয়েকটি বইয়ের কভার ডিজাইন করেছিলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জীবনানন্দ দাশের রুপসী বাংলা, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড়, কুমার জিম কর্পেটের ম্যানেজার এবং পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর দ্য ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ইত্যাদি।

এছাড়া সত্যজিৎ রায় প্রেসে কাজ করা কালীন দুটি নতুন ফন্ট ( Font) “রায় রোমান” এবং “রায় বিজার” তৈরি করেছে। রায় রোমান ১৯৪৫ সালে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এই পুরষ্কার পেয়েছিলেন।

তিনি তার অফিসে কাজ করা কালীন চিদানন্দ দাশগুপ্ত ও অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে মিলে রায় ১৯৪৮ সালে কলকাতা “ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠা” করেছিলেন।

সেখানে তারা একসাথে অনেক বিদেশী চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেছেন এর মধ্যে সত্যজিৎ রায় নিজেও অনেকগুলি চলচ্চিত্র দেখেছেন এবং তাদের উপর অনুশীলনও করেছেন।

তার প্রতিষ্ঠিত কলকাতা চলচ্চিত্রসভায় তিনি বহু বিদেশি চলচ্চিত্রও দেখতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতায় আমেরিকান সেনাদের সাথে বন্ধুত্ব করেছিলেন যারা তাকে শহরে নতুন নতুন চলচ্চিত্র দেখানোর বিষয়ে অবহিত করতেন।

এরমধ্যেই ১৯৪৯ সালে রায় এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় এবং তার দীর্ঘকালীন প্রিয়তম বিজয় রায়কে বিয়ে করেছিলেন।

বিখ্যাত বিদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক জঁ রনোয়ার তার দ্য রিভার সিনেমার শুটিং করতে কলকাতায় আসেন সেই সময় সত্যজিৎ রায় রনোয়ারকে গ্রামাঞ্চলে চিত্রস্থান খুঁজতে তাদের সহায়তা করেন। ঐ সময়েই সত্যজিৎ পরিচালক জঁ রনোয়ারের সাথে পথের পাঁচালীর চলচ্চিত্রায়ণ নিয়ে কথা বলেন ও তার পথের পাঁচালীর স্টোরি শুনে খুব ভালো লাগে ও তার রায়কে চলোচিত নির্মাণের জন্য উৎসাহিত করেন।

এরপর ১৯৫০ সালে ডি.জে কিমার সত্যজিৎ রায়কে লন্ডনে তাদের প্রধান কার্যালয়ে কাজ করতে পাঠান। লন্ডনে তিন মাস থাকাকালীন অবস্থায় সত্যজিৎ প্রায় ৯৯টি চলচ্চিত্র দেখেন। এদের মধ্যে ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী ছবি লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। পরবর্তীকালে সত্যজিৎ রায় বলেছেন যে – “ঐ ছবিটি দেখে সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার সময়েই তিনি ঠিক করেন যে তিনি একজন চলচ্চিত্রকার হবেন।”

সাহিত্য ও চলচ্চিত্র সত্যজিৎ রায়ের অবদান

সত্যজিৎ রায় ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা তিনি বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে তার নাম বিশ্বের কয়েকটি সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে গণনা করা হয়।

সত্যজিৎ রায় কলকাতার একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তার পরিবার চিত্রশিল্প ও সাহিত্যের সাথে জড়িত ছিল।

সত্যজিৎ রায় ৩৭ টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন যার মধ্যে বৈশিষ্ট্যযুক্ত চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন কল্পিত গল্প লেখক, প্রকাশক, চিত্রশিল্পী, কলিগ্রাফার, সংগীত রচয়িতা, গ্রাফিক ডিজাইনার ইত্যাদিতে তার দক্ষতা ছিল।

তিনি শিশুদের উপর ভিত্তি করে অনেক ছোট গল্প ও উপন্যাস এবং বই লিখেছেন। ফেলুদা, স্লেউথ ও প্রফেসর শঙ্কু তার গল্পের বিখ্যাত কিছু চরিত্র। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিগ্রিও পেয়েছে।

সত্যজিৎ রায়ের প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী ১৯৯৫ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা মানব ডকুমেন্টারি অ্যাওয়ার্ড সহ অনেক আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জিতেছিল। অপরাজিতা (১৯৫৬) এবং অপুর সংসার (১৯৫৯) এই চলচ্চিত্রের সাথে অনেকগুলি পুরষ্কারও পেয়েছিল।

সত্যজিৎ রায় নিজে স্ক্রিপ্টিং, কাস্টিং, স্কোরিং এবং এডিটিং এবং ডিজাইনিং করতেন। রাই তার চলচ্চিত্র জীবনে অনেক পুরষ্কার পেয়েছিলেন যার মধ্যে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ৩২ টি ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরষ্কার এবং ১৯৯৯ সালে দেওয়া একাডেমি পুরষ্কার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করে।

সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত রচনা

সত্যজিৎ রায় দ্বারা পরিচালিত সবথেকে উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র গুলির তালিকে

  • পথের পাঁচালী ( ১৯৫৫ )
  • অপরাজিত ( ১৯৫৬ )
  • অপুর সংসার ( ১৯৫৯ )
  • চারুলতা ( ১৯৬৪ )
  • গুপী গাইন বাঘা বাইন ( ১৯৬৮ )
  • সোনার কেল্লা ( ১৯৭৪ )
  • ১৯৭৯ জয় বাবা ফেলুনাথ ( ১৯৭৯ )
  • হীরক রাজার দেশে ( ১৯৮০ )
  • ঘরে বাইরে ( ১৯৮৪ )
  • আগন্তুক ( ১৯৯২ )

লেখক ও চিত্রকর হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের রচনা

সত্যজিৎ রায় বাংলা শিশু সাহিত্যে দুটি জনপ্রিয় চরিত্র তৈরি করেছিলেন, গোয়েন্দা ফেলুদা (ফলুদা) এবং বিজ্ঞানী অধ্যাপক শঙ্কু। এই দুটি বিখ্যাত চরিত্র আজও অনেকের প্রিয় চরিত্র। এছাড়া সত্যজিৎ রায়ের দ্বারা তৈরি ধাঁধা মানুষকে ভীষণ ভাবে কৌতূহল করে দিতো।

১৯৮২ সালে সত্যজিৎ রায় তার আত্মজীবনী রচনা করেন যার নাম দিয়েছেন যখন আমি তরুণ ছিলাম।

এছাড়া তিনি চলচ্চিত্রের বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন আমাদের ফিল্মস, তাদের ফিল্মস তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

পুরষ্কার ও সন্মান

বিশ্ব চলচ্চিত্রের জনক হিসাবে বিবেচিত দুর্দান্ত পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়াই রায়ের উদ্যেশে বলেছিলেন -“‘সত্যজিৎ রায় ছাড়া সিনেমা জগত রোদ-চাঁদ ছাড়া আকাশের মতো।”

  1. সত্যজিৎ রায় তাঁর জীবনে অনেক পুরষ্কার পেয়েছিলেন যার মধ্যে ভারত সরকার প্রদত্ত ৩২ টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরষ্কার রয়েছে।
  2. সিনেমার ক্ষেত্রে অতুলনীয় অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালের একাদশ মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি বহু পুরষ্কারে ভূষিত হন।
  3. সত্যজিৎ রায় চার্লি চ্যাপলিন এর পর এমন দ্বিতীয় চলচ্চিত্র জগতের ব্যাক্তিত্ব ছিলেন যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডক্টরেট পুরষ্কার পেয়েছেন।
  4. ১৯৮৫ সালে ভারতের অন্যতম চলচ্চিত্র পুরস্কার “দাদাসাহেব ফালকে” দিয়ে সত্যজিৎ রায়কে সম্মানিত করা হয়।
  5. ১৯৯২ সালেই সায়েন্ট অ্যান্ড সাউন্ড সমালোচক তাকে বিশ্বের “শীর্ষ দশ পরিচালক” তালিকায় রেখেছিলেন।
  6. ১৯৯৬ সালে, বিনোদন সাপ্তাহিক পত্রিকা রাইকে “গ্রেটেস্ট ৫০ পরিচালক ” এর তালিকায় ২৫নম্বরে স্থান দিয়েছে। একইভাবে, ২০০৭ সালে, টোটাল ফিল্ম ম্যাগাজিন রাইকে এর “১০০ সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক” এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
  7. তিনি তার জীবনের শেষের দিকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মভূষণ এবং ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করে।

Satyajit Ray Biography in Bengali – সত্যজিৎ রায় সম্পর্কিত তথ্য

সত্যজিৎ রায় কবে জন্মগ্রহণ করেন?

সত্যজিৎ রায় ২ মে ১৯২১ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

সত্যজিৎ রায় কেন বিখ্যাত?

সত্যজিৎ রায় ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি তার পথের পাঁচালি সিনেমাটির জন্য ভারত তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খ্যাতি পায়। এছাড়া তিনি ছিলেন সেরা চিত্রনাট্যকার, গীতিকারসঙ্গীত, অঙ্কনশিল্পী, উৎকৃষ্ট লেখক।

সত্যজিৎ রায়ের দ্বারা নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র কোনটি ?

পথের পাঁচালী ( ১৯৫৫) তার প্রথম সিনেমাটি আন্তর্জাতিক স্তরের মোট ১১টি পুরুস্কার পান।

সত্যজিৎ রায়ের দ্বারা পরিচালিত শেষে সিনেমাটির কোনটি ?

সত্যজিৎ রায়ের শেষে সিনেমা – আগন্তুক (১৯৯১)

সত্যজিৎ রায় কিসের জন্য অস্কার পুরস্কার পান?

অনেকে মনে করেন যে সত্যজিৎ রায় তার দ্বারা পরিচালিত একটি মাস্টারপিস সিনেমা “পথের পাঁচালি” এর কারণে অস্কার বা একাডেমি পুরুস্কার পান। তবে এই তথ্যটি সঠিক নয় সত্যজিৎ রায় বাবু কোনো নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য নয় বরং পরিচালনাসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় অতুলনীয়  অবদানের কারণে ১৯৯১ সালে অস্কার কমিটির তরফ থেকে তাকে ‘আজীবন সম্মাননা’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

উপসংহার

অবশেষে বলা যাই যে , সত্যজিৎ রায়ের জীবনী বিশ্লেষণ করলে আমার জানতে পারি যে বাংলা চলচ্চিত্রে সত্যজিৎ রায়ের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের স্তর এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চালচিত্র নির্মাণ ছাড়াও তিনি ছোটদের গল্প তৈরিতে ও চিত্রকলায় প্রখর দক্ষতার অধিকারী ছিলেন।

আশা করছি বন্ধুরা’, সত্যজিৎ রায়ের বায়োগ্রাফি আপনাদের উৎসাহিত ও তার সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে সাহায্য করেছে। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশই আপনাদের বন্ধু বান্ধব দেড় সাথে শেয়ার করুন, ধন্যবাদ।