Sister Nivedita Biography in Bengali – ভারতের সমাজের মঙ্গল সাধন যেসব বিদেশি তৎপর হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ভগিনী নিবেদিতা। তিনি জীবের সেবাকে ঈশ্বরের সেরা বলে মনে করতেন। তার ভারত প্রেম ও সমাজ কল্যাণের জন্য তাকে আজও ভারতীয়দের কাছে খুব শ্রদ্ধার। আজ আমরা এই পোস্টার মাধ্যমে ভগিনী নিবেদিতার জীবনী রচনা ও তার অবদান সম্পর্কে জানবো।
Biography Of Sister Nivedita in Bengali | ভগিনী নিবেদিতার অবদান
ভগ্নি নিবেদিতার আসল নাম | মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল |
জন্ম | ২৮ অক্টোবর ১৮৬৭ – আয়ারল্যান্ড এর টাইরন শহরে |
পিতা ও মাতা | স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল (পিতা) মেরি ইসাবেলা (মাতা) |
গুরু | স্বামী বিবেকানন্দ |
নিবেদিতার ভারত আগমন | ১৮৯৫ সালের ২৮ শে জানুয়ারি |
ভগিনী নিবেদিতার সংক্ষিপ্ত রচনা – Essay on Sister Nivedita in Bengali
ভগিনী নিবেদিতার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও রচনা
ভগিনী নিবেদিতা ছিলেন একজন ব্রিটিশ-আইরিশ সমাজকর্মী, লেখক, শিক্ষক এবং স্বামী বিবেকানন্দের অন্যতম শিষ্য। তার আসল নাম ছিল ‘মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল’। তিনি তার শৈশব ও যৌবনের কিছু সময় আয়ারল্যান্ডে কাটিয়েছিলেন। তিনি তার পিতা এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে জীবনের কিছু অমূল্য পাঠ শিখেছিলেন, যেমন মানব সেবা হল ঈশ্বরের প্রকৃত সেবা।
ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে ১৮৯৫সালে ভগিনী নিবেদিতার সাথে স্বামী বিবেকানন্দের প্রথম পরিচয় হয়েছিল, তারপর ১৮৯৮ সালে তিনি ভারতের কলকাতায় চলে আসেন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দের দ্বারা এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি পরবর্তীকালে স্বামীজিকে তিনি আধ্যাত্মিক গুরু মেনে নেন।
মানুষের ভালোবাসা ও সেবা তার মনে এতটাই জড়িয়ে ছিল যে সে তার দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসে এবং তারপর এখানেই থেকে তিনি সমাজ কল্যাণ ও দরিদ্রদের সেবা মূলক কাজের জন্য নিজের সমর্পন করেন।
ভগ্নি নিবেদিতার এই সেবামূলক মনোভাব এবং আত্মত্যাগের কারণে, ভারতে তাকে অনেক সম্মান দেওয়া হয়। সেবা মূলক কাজকর্ম ছাড়াও তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কিছুটা অংশগ্রহন করেন এবং সেই সময়কালে নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন।
এই সমস্ত সমাজ কল্যাণ মূলক কাজকর্ম ছাড়োও তিনি ভারতের স্বধীনতা আন্দোলনে পরোক্ষভাবে অংশ নেনে। তিনি তার বক্তিতারর মাধ্যমে ভারতের তরুণদের মধ্যে স্বাধীনতার আন্দোলের এগিয়ে আসর জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি সেই সময় একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কংগেসের নেতাদের সাথে পরিচিতি ছিলেন। কিন্তু স্বামীজীর চিন্তাধারা মধ্যে রাজনীতির কোনো যোগাযোগ না থাকায় ভগিনী নিবেদিতা তার সমাজসেবা মূলক কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।
ভগিনী নিবেদিতার জীবনী ও তার অবদান
[Note – উপরের আলোচিত ভগিনী নিবেদিতার সংক্ষিপ্ত জীবনকে ছাত্রছাত্রীরা ভগিনী নিবেদিতার রচনা লেখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ও নিম্নে ভগিনী নিবেদিতার জীবনী বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ]
জন্ম ও পরিবার
ভগিনী নিবেদিতা অথাৎ মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল আয়ারল্যান্ডের ডানগানন টাইরনে ১৮৬৭ সালের২৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতার নাম স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল এবং তার মায়ের নাম মেরি ইসাবেল । তার পরিবার স্কটিশ বংশোদ্ভূত কিন্তু গত ৫ শতাব্দী ধরে আয়ারল্যান্ডে স্থায়ী ছিল।
ভগিনী নিবেদিতার প্রাথমিক জীবন
মার্গারেট এলিজাবেথ এর প্রাথিমিক জীবন আয়ারল্যান্ডে গড়ে উঠে, তার পিতা , একজন পুরোহিত, মার্গারেটকে একটি মূল্যবান জীবনের শিক্ষা দিয়েছিলেন – ঈশ্বরের প্রতি প্রকৃত ভক্তি হল মানব সেবা তার এই কথাটি মনে জায়গা করে নিয়েছিল। মার্গারেটের বয়স যখন মাত্র এক বছর, তখন তার বাবা ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ম্যানচেস্টার (ইংল্যান্ড) চলে যান এবং মার্গারেট তার দিদার সাথে থাকতেন। যখন মার্গারেট এলিজাবেথ বয়স চার বছর, সে তার বাবার সাথে বসবাস করতে গেল।
ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষাজীবন (Education of Sister Nivedita)
মার্গারেটের অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতার বয়স যখন ১০ বছর তখন তার ঠাকুরমা হ্যামিল্টন সাথে থাকতেন তিনি তার দেখাশোনা করতো। তার ঠাকুরমা হ্যামিল্টন ছিলেন আইরিশ স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন।
নিবেদিতা লন্ডনের একটি চার্চ বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা থেকে তার প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি তার বোনের সাথে হ্যালিফ্যাক্স কলেজে ভর্তি হন সেখানে তিনি পদার্থবিজ্ঞান, শিল্প, সঙ্গীত এবং সাহিত্যের মতো বিষয়গুলি অধ্যয়ন করেন।
এই কলেজ পড়াকালীন তার শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকে জীব প্রেম ও আত্মত্যাগের গুরুত্ব ব্যাপারে ব্যাখ্যা করছিলেন যা তার উপর প্রভাব ফেলে।
তারপর তিনি তার কলেজের পড়াশোনা শেষে করে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রাথমিকভাবে শিশু শিক্ষকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু পরে উইম্বলডনে নিজের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে তিনি শিক্ষার জন্য কিছু নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
তিনি একজন শিশু শিক্ষিকার সাথে সাথে একজন ভালো লেখিকা, বক্তা ও সমাজ সেবিকা ছিলেন তার কারণে তার নাম ধীরে ধীরে লন্ডনের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীতে গণনা করা হতে লাগে।
স্বামী বিবেকানন্দ ও ভগিনী নিবেদিতা প্রথম সাক্ষাৎ
১৮৯৮সালের নভেম্বর মাসে লন্ডনে ভাগ্নি নিবেদিতা ও স্বামী বিবেকানন্দে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। আসলে ঘটনাটি এইরকম ছিল যে একদিন ভগিনী নিবেদিতা তার এক মহিলা বন্ধুর বাড়িতে দেখা করতে যায় সেখানে ঘটনাচক্রে স্বামী বিবেকানন্দ কিছু লোকের উপস্থিতর মধ্যে তিনি বেদান্ত দর্শন ব্যাখ্যা করছিলেন। তখনি ভাগ্নি নিবেদিতা স্বামীজিকে প্রথমবারের জন্য দর্শন করেন। তিনি স্বামীজীর ব্যক্তিত্ব ও বেদান্ত দর্শন ব্যাখ্যার বক্তৃতায় প্রভাবিত হন।
এই সময়ে, তিনি স্বামী বিবেকানন্দের কাছে অনেক প্রশ্ন করেছিলেন, যার উত্তরগুলি তার মনে বিবেকানন্দের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়েছিল ।
এর পরে মার্গারেট গৌতম বুদ্ধ এবং বিবেকানন্দের নীতিগুলি অধ্যয়ন করেছিলেন যা তার জীবনে অনেক প্রভাব ফেলেছিল। মার্গারেটে সেবা ও উৎসাহের মনোভাব দেখে বিবেকানন্দ বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি ভারতের শিক্ষাগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
ভগ্নি নিবেদিতার ভারতে আগমন
স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিবেদিতা তার পরিবার ও বন্ধুদের ছেড়ে ২৮ জানুয়ারি ১৮৯৮ সালে কলকাতায় পৌঁছান।
ভারতে আসার পর স্বামীজী সিস্টার নিবেদিতাকে ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি, দর্শন, মানুষ, সাহিত্য এবং ইতিহাসের ব্যাপারে বোঝান।
এরপর ১ লা মার্চ নিবেদিতা আধ্যাত্মিক স্ত্রী সারদা দেবীর সাথে দেখা করেন যিনি তাকে কন্যা বলে সম্বোধন করেছিলেন।
কিছু দিন পর একটি সাংস্কৃতিক বৈঠকে বিবেকানন্দ মার্গারেট আলভার অর্থৎ ভগ্নি নিবেদিতার পরিচয় সেখানকার সাধারণ মানুষের সাথে করিয়ে দেন।
ভগিনী নিবেদিতার আধ্যাত্মিক শিক্ষা গ্রহণ
১৮৯৮ সালের ২৫ মার্চ, মার্গারেট নোবেল স্বামী বিবেকানন্দের তত্ত্বাবধানে ‘ব্রহ্মচর্য’ গ্রহণ করেন, যার পর বিবেকানন্দ তাকে একটি নতুন নাম দেন ‘নিবেদিতা’। এইভাবে বোন নিবেদিতা প্রথম পাশ্চাত্য নারী হয়েছিলেন যে কোনও ভারতীয় ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
ভগিনী নিবেদিতা তার বই ‘দ্য মাস্টার এজ আই সি হিম’ -এ বিবেকানন্দের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রায়ই স্বামী বিবেকানন্দকে ‘রাজা’ বলে উল্লেখ করতেন এবং নিজেকে তার আধ্যাত্মিক কন্যা বলে অভিহিত করতেন।
ভগিনী নিবেদিতার ভারত ভ্রমন
ভগিনী নিবেদিতা ভারতে আসার সর্বপ্রথম সারদা দেবীর সাথে দেখা করেন। এর পরে, উভয়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত পারস্পরিক ভালবাসা এবং শ্রদ্ধার সম্পর্ক শেষে জীবন পর্যন্ত চলে।
স্বামী বিদেকানন্দ ভগিনী নিবেদিতা তার কিছু শিষ্য সহ কাশ্মীর সহ ভারতের অনেক অঞ্চল পরিদর্শন করেন ও সেখানকার সংস্কৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের ব্যাপারে জানতে থাকেন। এরপর তিনি ১৮৯৮ সালের মে মাসে তিনি হিমালয় ভ্রমণের জন্য যান। এরপর তিনি একে একে আলমোড়া, কাশ্মীর ,অমরনাথও ভ্রমন করেন।
তিনি তার এক বই উল্লেখ করেন যে আলমোড়ায় প্রথম স্বামীজীর সহযোগিতায় ধ্যান করা শিখে ছিলেন। এছাড়া তিনি একবার ১৮৯৯ সালে, তিনি স্বামী বিবেকানন্দের সাথে আমেরিকা যান।
ভারতীয় সমাজের মঙ্গলসাধনে ভগিনী নিবেদিতার অবদান
ভগিনী নিবেদিতা তার আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দকে তার গুরু হিসেবে গ্রহণ করার পর থেকেই তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে সমাজ কল্যাণের কাজে নিযুক্ত হন। সেই সময় তিনি বালিকাদের শিক্ষার প্রসার থেকে শুরু করে দরিদ্রদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। এছাড়া তিনি শিক্ষিত মানুষের কাছে প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি ও বেদ দেতান্তর জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইংরেজি ভাষায় বই লিখেছিলেন এবং তার বক্তৃতার মাধ্যমে প্রচার করেছিলেন।
এছাড়া তিনি ভারতের স্বাধীনতার প্রবল সমর্থক ছিলেন তিনি অরবিন্দ ঘোষের মতো জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি কখনো কোনো জাতীয় আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি, কিন্তু তিনি তার বক্তৃতা এবং নিবন্ধের মাধ্যমে ভারতীয় তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
ধীরে ধীরে নিবেদিতার মনোযোগ ভারতের স্বাধীনতার দিকে চলে যায় তবে বিবেকানন্দের নীতি ও আদর্শের রাজনীতির সাথে কোন সম্পর্ক ছিল না, তাই বিবেকানন্দের মৃত্যুর পর তিনি সংঘ থেকে পদত্যাগ করেন।
নারী শিক্ষায় ভগিনী নিবেদিতার অবদান
যেহুতু ভগিনী নিবেদিতা ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজকর্মী এবং শিক্ষাবিদ যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতের নারীদের উন্নয়ন ও তাদের শিক্ষিত করার জন্য উদ্যেগী হন।
১৮৯৮ সালে ভারত আগমনের পর থেকেইক কয়েক মাসের মধ্যে সমাজসেবা মূলক কাজ শুরু করে। ভাগ্নি নিবেদিতা সেই সময় মেয়েদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে একটি স্কুল তৈরি করেছিলেন। নিবেদিতা পরোপকারকে তার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিতেন। তার লক্ষ্য ছিল কোন বৈষম্য ছাড়াই ভারতীয় নারীদের জীবনে জ্ঞানের আলো আলোকিত করা।
ভগিনী নিবেদিতার মতে শিক্ষার লক্ষ্য ছিল – নারীরা বাড়ির কাজ করার সাথে সাথে শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে যাতে নারীরও পুরুষের মতন সমান মর্যদা পায়। এছাড়া তিনি মানুষের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার করিয়ে সেই সময় প্রচলিত সমাজের কুপ্রথাগুলির বিরুদ্ধেও বিরুদ্ধে সরব হন।
ভগিনী নিবেদিতার উপাধি ও সম্মান
ভগিনী নিবেদিতা একজন বিদেশী হওয়ার সত্বেও ভারতীয় সমাজ কল্যানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন যার কারণে পরবর্তীকালে তাকে ভারত সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা তাকে সন্মান দেওয়া হয় –
- ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার নিবেদিতার স্মৃতিরক্ষার্থে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ২০১০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত ভবনটি নিবেদিতার নামে রাখা হয়।
- দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইতে ভগিনী নিবেদিতার প্রতিষ্ঠিত অ্যাকাডেমিটির নাম রাখা হয়েছে সিস্টার নিবেদিতা অ্যাকাডেমি।
- এছাড়া ভগিনী নিবেদিতা স্মৃতি স্মরণে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের একধিক বিদ্যালয় এর নাম রাখা হয়েছে। সেই সময় ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাদের মধ্যে অন্যতম।
উপসংহার
যদি আমরা ভগিনী নিবেদিতার জীবনী (Sister Nivedita Essay in Bengali) পড়ি তবে জানতে পারি যে জীবের সেবা করাই হলো মানুষের আসল কর্তব্য। নিবেদিতার ভারতীয় সংস্কৃতি এতটা ভালোবেসেছিলেন যে তিনি তার পরিবার বন্ধুরেরে ছেড়ে স্বামী বিবেকান্দের কথাই তিনি ভারতে আসেন ও ভারতীয় সাস্কৃতির ও ইতিহাসের অধ্যনের সাথে সাথে ভারতীয় সমাজের মঙ্গলসাধনে ভগিনী নিবেদিতার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
আশা করছি আপনারা ভগিনী নিবেদিতার বিয়োগ্রাফি থেকে অনেক তথ্য জানতে ও শিখতে পড়েছেন। পোস্টি শেষে পযন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।